ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে

কুরবানী ঈদের ফজিলতঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে এ বিষয়টি অনেকেই আছে যারা জানতে চাই। বিশেষ করে আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেল ওপেন করেছেন সাধারণত তারা নিশ্চয়ই ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে? তা জানতে চেয়েছেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে? তার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে

• ২০২৩ সালের ঈদুল আজহা কবে
• ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে
• ২০২৩ সালের কোরবানি ঈদ কত তারিখে
• কুরবানী ঈদের ফজিলত
• উপসংহার

২০২৩ সালের ঈদুল আজহা কবে?

মুসলিমদের কাছে যে সকল ইবাদত গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে অন্যতম হলো কুরবানী। সাধারণত কুরবানী হলো একটি আর্থিক ইবাদত। যা আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার জন্য করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর দুইটি ঈদ পালন করা হয় তার মধ্যে ঈদুল আযহা অন্যতম একটি এবং এটিকে মুসলিমদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সালের কোরবানি ঈদের ছুটি কত তারিখ কয়দিন জেনে নিন

অনেকে রয়েছে যারা ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেনা। কোরবানি ঈদ জিলহজ মাসে পালন করা হয়। ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে এ বিষয়টি জানতে চাই সাধারণত তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী। যেহেতু জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহা পালন করা হয় সেই ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী বাংলাদেশে ঈদুল আযহা পালন হবে।

জিলহজ মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ জিলহজ মাস শুরু হবে জুন মাসের ২০ তারিখ থেকে। সেই অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০ তারিখ হচ্ছে জুন মাসের ২৯ তারিখ। তাহলে এখান থেকে আমরা বলতে পারি যে এবারের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ঈদুল আযহা পালিত হবে জুন মাসের ২৯ তারিখে। যেহেতু হিজরি মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল সেহেতু ২৮ শে জুন বাংলাদেশের আকাশের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন ঈদ পালন করা হবে।

ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে

আমরা জানি সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। যদি জুন মাসের ১৯ তারিখে থেকে জিলহজ মাস শুরু হয় তাহলে জুন মাসের ২৮ তারিখ ঈদুল আযহা পালন করা হবে। আগে থেকে আরবের বিভিন্ন দেশে যেমন সৌদি আরব ঈদ পালন হওয়ার পরের দিন বাংলাদেশে আকাশের চাঁদ দেখা যায়। যদি সৌদি আরব অথবা আশেপাশের বিভিন্ন দেশে ২৮ তারিখে চাঁদ দেখা যায় তাহলে পরের দিন আমাদের বাংলাদেশে ঈদ পালন করা হবে।

সাধারণত এ বিষয়টি জানার জন্য অনেক মুসলমান রয়েছে যারা গুগলে সার্চ করে থাকে। সাধারণত ১৪৪৪ হিজরী সালের জিলহজ্জ মাসের ক্যালেন্ডার দেখলেই ঈদুল আযহা কত তারিখে এ বিষয়টি সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়। যেহেতু ঈদ হল আমাদের কাছে সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব জানার আগ্রহ সবার মধ্যেই থাকে।

ঈদুল আযহাতে পশু কিনার একটি বিষয় রয়েছে তাই আগে থেকে যদি জানা থাকে ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে? তাহলে খুব সহজেই আগেভাগে পশু কিনে প্রস্তুতি রাখা যায়। ইতিপূর্বে আপনাদের জানানো হয়েছে যে এবারের কোরবানির ঈদ যত সম্ভব বাংলাদেশের আকাশে ২৮ জুন দেখা দিতে পারে এবং ২৯ জুন ঈদ উল আযহা পালন করা হতে পারে।

২০২৩ সালের কোরবানি ঈদ কত তারিখে?

প্রতিটি ইবাদত সাধারণত আল্লাহ তায়ালার জন্য করা হয়। কুরবানী তার ব্যতিক্রম নয়। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য নিজের অর্থ ব্যয় করে কিনা পশু আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জন করার জন্য কোরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত এই কুরবানীর গোশত অথবা রক্ত কোন কিছুই আল্লাহতালার কাছে যাই না শুধু যাই মানুষের মনের তাকওয়া।

কোরবানি ঈদ অনেক ফজিলতপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আমরা জানি কোরবানি হলো আল্লাহ তাআলার নবী হযরত ইব্রাহিম আঃ এর সুন্নত। ইতিপূর্বে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কুরবানী দিয়েছেন এবং আমাদের কুরবানী দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে কুরবানী দিতে হবে যদি আমাদের সমর্থ্য থাকে।

আরো পড়ুনঃ কোরবানির ঈদের চাঁদ দেখার দোয়া - চাঁদ দেখার দোয়া বাংলা

প্রতিটি সামর্থ্যবান এবং বিবেক সম্পন্ন নর এবং নারীর উপরে আল্লাহ তায়ালা কোরবানি ওয়াজিব করেছেন। ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি যে এবারের কোরবানি ঈদ ২৯ জুন পালন করা হবে। যদিও হিজরী মাস হল সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে যদি বাংলাদেশের আকাশে ২৮ জুন চাঁদ দেখা যায়। ঈদের দিনের কিছু সুন্নত জেনে নেওয়া যাকঃ

১। জামাতের সাথে ফজরের নামাজ পড়তে হবে।

২। খুব ভরে ঘুম থেকে উঠতে হবে।

৩। মেসওয়াক দিয়ে দাত পরিষ্কার করতে হবে

৪। পরিষ্কার করে গোসল করতে হবে

৫। নতুন এবং সেরা পোশাক পড়তে হবে।

৬। সুগন্ধি লাগাতে হবে।

৭। ঈদের নামাজের আগে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮। মসজিদে যাওয়ার সময় এবং ঈদের নামাজ পড়ার পর ফেরার সময় বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে হবে।

৯। ঈদের সালাতে যাওয়ার সময় জোরে জোরে তাকবীর পাঠ করতে হবে।

১০। ঈদের নামাজ পড়ে খুতবা শুনতে হবে।

কুরবানী ঈদের ফজিলত

এই আর্টিকেল এর আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যে ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে? এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনেছি। ঈদুল আযহার গুরুত্ব অপরিসীম। কুরআন-হাদীছে এ ব্যাপারে যথেষ্ট তাকীদ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন," আর কুরবানীর পশু সমূহকে আমরা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে" {সূরা হজ্জঃ ৩৬}

আল্লাহ আরও বলেন, "আর আমরা তাঁর (ইসমাঈলের) পরিবর্তে যবহ করার জন্য দিলাম একটি মহান কুরবানী। আমরা এটিকে পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিলাম" আল্লাহ বলেন, "তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ছালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর" {সূরা কাওছারঃ ২}

যখন তারা উভয়ে আনুগত্য পিতা কুরবানি করতে ও পুত্র কুরবানি হতে প্রকাশ করলেন এবং ইবরাহিম আঃ তার পুত্রকে কাত করে শায়িত করলেন, তখন আমি (আল্লাহ) তাকে আহ্বান করে বললাম, হে ইবরাহিম! তুমি তাে স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করলে!

এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয় এটি ছিল একটি স্পষ্ট ও বড় পরীক্ষা। আমি তাকে অর্থাৎ ইসমাইলকে মুক্ত করলাম এক কুরবানির বেহেশত থেকে প্রেরিত একটি দুম্বার বিনিময়ে। আমি এটি পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। {সূরা সাফফাতঃ ১০২-১০৮}

শয়তান দরদী সেজে পথের তিন তিনটি স্থানে বাধা দেয়ার অপচেষ্টা করল। কিন্তু ইব্রাহিমের মত পিতা যেখানে আল্লাহর মহব্বতে কোরবানি করতে। আর ইসমাইলের মতো পুত্র যেখানে আল্লাহর মহব্বতে কোরবান হতে তৈয়ার। সেখানে ইবলিসি চাল চলবে কেন? শয়তানের তিন-তিনটি বাধা অতিক্রম করে পিতা-পুত্র পৌঁছে গেলেন কোরবানির স্থানে।

নিজের পুত্রের গলায় ছুরি চালাতে প্রস্তুত হলেন। কোরবান হয়ে গেল আল্লাহর মহব্বতে সামনে সমস্ত মহাব্বত। এমনকি কলিজার টুকরা পুত্রের মোহাব্বত। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা তো শুধু আপন খলিলের মহব্বতের ইমতিহান করা। পুত্রকে জবেহ করা উদ্দেশ্য নয়৷ তাই সঙ্গে সঙ্গে তিনি জান্নাত থেকে দুম্বা পাঠালেন৷ আর আদেশ দিলেন পুত্রের পরিবর্তে জান্নাতি দুম্বা জবাই করার।

ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখেঃ উপসংহার

২০২৩ সালের ঈদুল আজহা কবে? ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে? ২০২৩ সালের কোরবানি ঈদ কত তারিখে? কুরবানী ঈদের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।

আরো পড়ুনঃ ঈদের দিন মহিলাদের আমল - ঈদের দিন মহিলাদের রোজা রাখা হারাম

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশেষে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন। নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন।