বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
আপনি কি বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নিচে আপনাদের জন্য কতদিন আগে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়, রেলওয়ে টিকিট কাটার নতুন নিয়ম এবং বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
কতদিন আগে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়
অনেকের মনে এই ধরনের প্রশ্ন জাগ্রত হয় যে কতদিন আগে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। অগ্রিম ট্রেনের টিকেট কেটে রাখতে অনেকেই চায় যেন পরবর্তীতে বিপদে পড়তে না হয়। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে যে কতদিন আগে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন পূর্বে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটা যায়। তবে এটা নির্ভর করে পরিস্থিতির উপর।
রেলওয়ে টিকিট কাটার নতুন নিয়ম
ট্রেনের টিকিট কাটার নতুন নিয়ম চালু করার কথা ভেবেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই নিয়ম অনুসারে আন্তনগর ট্রেনের টিকেট কাটতে হবে জাতীয় পরিচয় বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে। রেল কর্মকর্তার পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই করবেন। এখানে একজন অন্যজনের জাতীয় পরিচয় বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবে না।
আন্তনগর ট্রেনে জার্নি করতে গেলে নিজের জাতীয় পরিচয় বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। কেউ যদি অন্যের জাতীয় পরিচয় বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করে আর যদি যাচাইয়ের সময় ধরা পড়ে তাহলে তার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি এবং টিকিট কালোবাজারি রোধ করতে এই ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম খুবই সহজ। খুব সহজেই আপনি বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটতে পারবেন। বিকাশের ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে প্রথমে বিকাশ অ্যাপসটি ওপেন করে নিতে হবে।তারপরে সেখানে মেইন মেনু থেকে টিকেট অপশনে যেতে হবে।সেখানে গেলে দেখতে পাবেন যে অনেকগুলো পরিবহনের নাম উল্লেখ রয়েছে বাস-লঞ্চ মুভি বিমান ও ট্রেন ইত্যাদি । তো আপনি সেখান থেকে ট্রেন সিলেক্ট করে বাংলাদেশ রেলওয়ে অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর সেখানে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে আপনাকে ইমেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। তারপরে যাত্রার গন্তব্য, তারিখ এবং টিকেটের সংখ্যা নির্বাচন করতে হবে। এগুলো করার পরে যদি সিট অ্যাভেইলেবল থাকে তাহলে পার্সেজ অপশানে যেতে হবে। সেখানে গেলে রেলওয়ে নিবন্ধিত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড চাইবে। সেগুলো দিলে বিকাশের গেটওয়ে আসবে, তারপর সেখানে বিকাশ নাম্বার দিলে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে তারপর সেই কোড দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে হবে।
ট্রেনের টিকিট কাটতে কি কি লাগে
আপনি যদি কাউন্টারে বা অফ লাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে চান তাহলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র এবং মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন হবে। আর আপনি যদি অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি স্মার্টফোন এবং অনলাইন কানেকশন। সেই সাথে প্রয়োজন হবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র এবং মোবাইল নাম্বার।
টিকিট কাটার পদ্ধতি
টিকিট কাটার সাধারণত দুইটি পদ্ধতি। একটি হচ্ছে অফলাইনে অর্থাৎ কাউন্টারের যে টিকিট কাটা।আর একটি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট কাটা। কাউন্টারে টিকিট কাটতে হলে আপনাকে সেখানে যেতে হবে। আর অনলাইনে টিকিট কাটলে আপনি বাসায় বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কাটতে পারবেন। এতে আপনার সময় অপচয় কম হবে এবং কষ্ট কম হবে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ছাড়াও টিকিট কাটার পদ্ধতি, ট্রেনের টিকিট কাটতে কি কি লাগে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের গুরুত্বপুর্ণ তথ্যগুলো বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url