ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম
ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।আপনি যদি ফ্রান্স যেতে চান তাহলে প্রয়োজন হবে ফ্রান্স ভিসা। সেজন্য আজকের আর্টিকেলে ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম সহ আরো বিভিন্ন রকম তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ সকল তথ্য জেনে রাখার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম সহ এই সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয়ে।
ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম সহ ফ্রান্সের আরো অনেক তথ্য এ আর্টিকেলে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। সেজন্য আপনি যদি ফ্রান্সে যেতে চান তাহলে এ সকল তথ্য সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। আশা করছি সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- ফ্রান্স ভিসা খরচ
- ফ্রান্স ভিজিট ভিসা
- ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত
- ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়মঃ শেষ কথা
ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম
বন্ধুরা আজকে আপনারা এই অংশ থেকে জানতে পারবেন ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম। আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে ফ্রান্সে যেতে পারেন তাহলে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এমনকি ফ্রান্সের নাগরিকত্ব লাভ করার সুবিধা পেতে পারেন। ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে।
১। সর্বনিম্ন এক বছর মেয়াদী ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকতে হবে।
২। ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে
৩। পাসপোর্ট সাইজের রিসেন্ট তোলা ৪ কপি ছবি
৪। যদি ইংরেজিতে ভালোভাবে কথা বলতে এবং লিখতে পারেন তাহলে গ্রহণযোগ্যতা বেশি পাবেন।
৫। শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
৬। যে কাজে আবেদন করবেন সেই কাজের দক্ষতা থাকতে হবে এবং সেই দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।
৭। যদি ব্যাংক স্টেটমেন্ট চাই তাহলে দিতে হবে।
৮। এবং সর্বশেষে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট লাগবে।
এ সকল তথ্যের প্রয়োজন হবে ফ্রান্স হিসেবে আবেদন করার জন্য। এবং আবেদন করার পরে যদি আপনার সকল কিছু তথ্য ঠিকঠাক ভাবে তাহলে আপনাকে তারা ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে। এবং তারপরে যদি আপনার সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে ফ্রান্স ভিসা নিয়ে এয়ার টিকেট কাটার পরে ফ্রান্সে যেতে পারবেন।
ফ্রান্স ভিসা খরচ
ফ্রান্স ভিসার খরচ হয়ে থাকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মতো। এটা শুধুমাত্র ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য খরচ হয়ে থাকে। তবে শুধুমাত্র ভিসা করলেই আপনি যেতে পারবেন না ফ্রান্স পেতে হলে আরো অনেক কিছু কাজ রয়েছে সেগুলোর জন্য আরো খরচ করতে হবে।
সব মিলিয়ে ফ্রান্স যেতে খরচ হতে পারে ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত। এ টাকার মধ্যে বিমান ভাড়া সহ আরো যত খরচ হয়েছে সবকিছু ধরা হয়েছে। তবে বিভিন্ন রকম ভিসার জন্য টাকা কম বেশী লাগতে পারে। আর আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে যান তাহলে এত বেশি টাকা লাগবে কিন্তু আপনি যদি সরকারি ভাবে যেতে চান তাহলে সব মিলিয়ে খরচ পড়তে পারে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
ফ্রান্স ভিজিট ভিসা
ফ্রান্স ভিজিট ভিসা অর্থাৎ টুরিস্ট ভিসা ভিজিট ভিসা করার মাধ্যমে আপনি ফ্রান্স গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন। ফ্রান্স ভিজিট ভিসার জন্য কোন ট্রাভেল এজেন্সি আবেদন করতে পারবেনা। আপনি যদি ফ্রান্স ভিজিট ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে নিজেকেই আবেদন করতে হবে। আর জেনে রাখুন ফ্রান্স ভিজিট ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে।
১। কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ রয়েছে এরকম পাসপোর্ট
২। পাসপোর্ট সাইজের রিসেন্ট তোলা দুই কপি ছবি
৩। ব্যাংক ট্রিটমেন্ট থাকতে হবে অন্তত চার মাসের চাকরিজীবীদের কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা থাকতে হবে এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা থাকতে হবে।
৪। ব্যাংক সলভেন্সি লেটার প্রয়োজন হবে।
৫। ব্যবসায়ীদের জন্য ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করা ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
৬। ট্যাক্স রিটার্ন থাকতে হবে
৭। ট্যাক্স সনদ প্রয়োজন হবে
৮। কোম্পানির লেটার ও ভিজিটিং কার্ড
৯। যারা বিবাহিত তাদের জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে আর যারা অবিবাহিত তাদের জন্য বার্থ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
১০। এবং সবশেষে আরেকটি তথ্যের প্রয়োজন হবে সেটি হল কমপক্ষে ৪-৫ টি ভ্রমণ করা থাকতে হবে।
এ সকল তথ্যের মধ্যে সকল তথ্য দেওয়ার পরে যদি আপনার সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনি ফ্রান্স ভিজিট ভিসা পাবেন। এবং ভিসা পাওয়ার পরে ভিসার ফি পরিশোধ করতে হবে। তারপরে সবকিছু যদি কমপ্লিট হয়ে যায় তাহলে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে ফ্রান্স যেতে পারবেন।
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনাদের অনেক কিছু জানিয়ে দিয়েছি। আপনি যদি ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়তে পারে ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মতো। আপনি যদি দালালের মাধ্যমে ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করিয়ে নিতে চান তাহলে তারা ইন্ডিয়ার এম্বাসি থেকে আপনাকে ভিসা করে দিবে আর সেজন্য তারা অনেক বেশি টাকা নিয়ে থাকে।
কিন্তু আপনি যদি সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফ্রান্স যেতে পারেন তাহলে আপনার খরচ অনেকটা কম লাগবে এবং ভিসা করতেও অনেক খরচ কম হবে আর আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি যদি ফ্রান্সে থাকে এবং তিনি যদি আপনার ভিসা করে দেয় তাহলে খরচ আরো অনেক কম লাগবে।
তবে ফ্রান্স যেতে হলে যে সকল কাগজের প্রয়োজন সেগুলো যদি ঠিক না থাকে তাহলে আপনি কখনোই ভিসা করতে পারবেন না এবং ফ্রান্সে যেতে পারবেন না। তাই উপরে বলে দেওয়া যে সকল কাগজপত্রের কথা বলা হয়েছে এগুলো ঠিক করে নিবেন।
ফ্রান্সে সর্বনিম্ন বেতন কত
আপনি যদি ফ্রান্সে কাজের জন্য যান তাহলে কাজের বেতন হিসেবে সর্বনিম্ন ৯০ হাজার টাকা পেয়ে থাকবেন। এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। তবে প্রথম প্রথম এত টাকা বেশি বেতন পাবেন না যদি ভালো কোন কাজ করতে পারেন এবং অনেকদিন ধরে সেখানে কাজ করতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে। আর হ্যাঁ এর বেতন শুধু বাংলাদেশীদের জন্য।
ফ্রান্সে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফ্রান্সে অনেক কাজই রয়েছে কিন্তু এত কাজের মধ্যে কয়েকটি কাজ রয়েছে যেগুলো চাহিদা একটু বেশি হয়ে থাকে। ফ্রান্সে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো কাজ হল ড্রাইভিং, হোটেল, পাই ফিটিং এবং কনস্ট্রাকশন এর কাজ।
আপনার যদি সকল কাজে ভাল দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এই কাজগুলো পেতে পারেন। আর আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো দক্ষ হন এবং কাজগুলোতে ভাল দক্ষতা থাকে তাহলে খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন। আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম সহ সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারলেন।
ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়মঃ শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পরে ফ্রান্স ভিসা আবেদন করার নিয়ম সহ এ সম্পর্কিত সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। তারপরও যদি এই বিষয়ে আপনার আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন।
এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত পাবলিশ করা হয়। তাই এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url