বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৩ সালে এসে কিভাবে করবেন এ এই বিষয়গুলো সহ এ সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয়ে আজকের আর্টিকেল আলোচনা করা হবে তাই আপনি যদি সকল বিষয়ে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম - পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৩
- বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম
- পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৩
- পর্তুগাল ভিসা পেতে কি কি লাগে
- পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
- পর্তুগাল ভিসার দাম কত
- শেষ কথা
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম হলো বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য কয়েকটি ধাপ রয়েছে সেই ধাপগুলো পার করতে পারলে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে পারবেন। অনেক আগে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়া অনেক কঠিন একটি ব্যাপার বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে। যারা বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে চান কিন্তু জানেন না বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম তারা এই অংশ থেকে জেনে নিতে পারেন বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম গুলো।
১। বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশে থাকা পর্তুগাল এম্বাসির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
২। তাদের সাথে যোগাযোগ করার পরে প্রয়োজনীয় যে সকল তথ্য লাগবে সে সকল তথ্য দিয়ে পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
৩। আপনি যে ধরনের ভিসা চান সে ধরনের ভিসার বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে হবে। আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চান তাহলে বিজ্ঞপ্তি দেখার পরে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আবেদন করতে হবে।
৪। তারপরে যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে সেই সকল ডকুমেন্ট দেওয়ার পরে ভিসার ফি পরিশোধ করতে হবে।
অতঃপর ভিসার পরিশোধ করার পরে সকল কিছু সম্পূর্ণভাবে হয়ে গেলে আপনি পেয়ে যাবেন পর্তুগাল অনুমোদিত ভিসা পাসপোর্ট এবং তারপরে আপনাকে এয়ার টিকিট কাটতে হবে। এ সকল ধাপ পূরণ করার পরে আপনি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে পারবেন। আর কখনো অবৈধ উপায়ে ভিসা বা পাসপোর্ট তৈরি করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাহলে এতে করে পরবর্তীতে বিপদে পড়তে পারেন।
পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৩
পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে যেতে হবে এম্বাসিতে আর এটি সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কিন্তু সমস্যা হল বাংলাদেশে পর্তুগাল ভিসা আবেদন করার জন্য কোন এম্বাসি নেই। তবে ভারতের দিল্লিতে পর্তুগাল ভিসার এম্বাসি রয়েছে সেখানে গিয়ে পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
আর আপনি যদি পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আবেদন করতে চান তাহলে দুটি মাধ্যমে করতে পারবেন একটি হল ভারতীয় এম্বাসির মাধ্যমে তারা আরেকটি হল অনলাইনের মাধ্যমে। কিন্তু সবাই তো আর ভারতে গিয়ে ভারতে এম্বাসির মাধ্যমে পর্তুগাল ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না। সেজন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট বিষয়ে আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে যেতে হবে www.pt.indeed.com এই ওয়েবসাইটে।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে আপনি কোন কাজের জন্য ভিসায় আবেদন করতে যাচ্ছেন সেই কাজের নাম লিখে সার্চ করুন। তারপরে আপনার পছন্দের চাকরিতে আবেদন করার জন্য আপনার সিভি সাবমিট করুন। সাবমিট করার পরে আপনার যদি সে যোগ্যতা থাকে এবং সকল কিছু বিবেচনা করে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় তাহলে আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে। এবং তারপরে আপনাকে ইন্ডিয়ার পর্তুগাল ভিসা এম্বাসিতে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করতে হবে।
পর্তুগাল ভিসা পেতে কি কি লাগে
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম এবং পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৩ সম্পর্কে ইতোমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন। এবার জানব পর্তুগাল ভিসা পেতে কি কি লাগে? আসলে পর্তুগাল ভিজিট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ডকুমেন্টগুলোর ভিন্নতা রয়েছে। প্রথমে জানা যাক পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে যা যা লাগে
- পাসপোর্ট লাগবে সেটার সর্বনিম্ন মেয়াদ থাকতে হবে দুই বছর
- কোন কোন কাজে দক্ষতা রয়েছে সেইগুলা অনুযায়ী CV প্রয়োজন হবে।
- আপনি যে কাজে দক্ষ সে কাজে আবেদনের কপি প্রয়োজন হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হতে পারে
- শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইংরেজি বা প্রর্তুগালের পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলায় পারদর্শী হলে একটি বেশি প্রাধান্য পাবেন
এই সকল ডকুমেন্ট ভিসা এম্বাসিতে প্রদান করার পরে।প্রয়োজন হবে মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে প্রর্তুগাল যেতে পারবেন।
পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে পর্তুগাল যেতে পারবেন। পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য অনেকগুলো ধাপ পার করতে হবে এই সকল ডকুমেন্ট সাবমিট করার পরে যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে টুরিস্ট ভিসায় পর্তুগাল যেতে পারবেন। প্রর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা পেতে যা যা লাগবে সেগুলোর তথ্য নিচে দেওয়া হলো।
- ছয় মাস মেয়াদি ভ্যালিড পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
- ভিসা আবেদন পত্রের কপি প্রয়োজন হবে
- ট্রাভেল মেডিকেল ইন্সুরেন্স প্রয়োজন হবে
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট অর্থাৎ ব্যাংক ব্যালেন্সে ৪-৫ লক্ষ টাকা থাকতে হবে
- আয়ের উৎস সম্পর্কে বর্ণনা দিতে হবে
- পর্তুগাল যাওয়ার কারণ সম্পর্কে একটি চিঠি লিখতে হবে
- এয়ার টিকিটের বুকিং কপি প্রয়োজন হবে
- হোটেল বুকিং এর কপি প্রয়োজন হবে
- যদি বিজনেসের জন্য যাওয়া হয় তাহলে বিজনেসের ট্রেড লাইসেন্স এবং ভিজিটিং কার্ড প্রয়োজন হবে।
পর্তুগাল ভিসার দাম কত
পর্তুগালের বিভিন্ন রকম ভিসা থাকে সেজন্য বিভিন্ন রকম ভিসার দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক পর্তুগালের কোন ভিসার দাম কত? পর্তুগাল স্টুডেন্ট ভিসা ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা, আর পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
পর্তুগাল মেডিকেল ভিসা ৪ থেকে ৫ লক্ষ এবং পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসার দাম ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। এখানে শুধুমাত্র ধারণা দেওয়া হল পর্তুগাল ভিসার দাম সম্পর্কে কিন্তু বিভিন্ন কারণে পর্তুগাল ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম - পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৩ঃ শেষ কথা
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৩ পর্তুগাল ভিসা পেতে কি কি লাগে পর্তুগাল টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায় পর্তুগাল ভিসার দাম কত এ সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
তার পরেও যদি এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url